শ্রাবণী খাঁ


বিষণ্ণ বোগেনভেলিয়া

১.

নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে প্রদীপ...

তেমন একটি যোগাযোগ প্রয়োজন ছিল।

মৃত্যুর দিনক্ষণ ঠিক হয়ে যাবার পর...

রোগী যেমন শেষবারের মতো একটু ভালো থাকে,

তেমন একটি যোগাযোগ প্রয়োজন ছিল।

আগামী পৃথিবীতে আমাদের মধ্যে যাতে আর কোন যোগাযোগবিহীন-যোগাযোগও বেঁচে না থাকে...

সেটুকু নিশ্চিত করতেও...

এমন একটি যোগাযোগ প্রয়োজন ছিল।

২.

একটি বিষণ্ণ চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে।

জল? না ঘুম? কে জানে!

শুধু জ্বরের মতো তিতকুটে স্বাদ জিভে নিয়ে

শোকগ্রস্ত দাঁড়িয়ে থাকা।

সেই দাঁড়িয়ে থাকায় ফুটে ওঠে বোগেনভেলিয়ার গাঢ় দুঃখবোধ…

পিছুটান ঝরে ঝরে যায়।

একটা বিষণ্ণ বেগুনী বিকেলে... চোখে জল না ঘুম নিয়ে তর্ক করতে করতে...

অকারণ সন্ধেতে মিশে  যায় ।

আমার সমস্ত ঘুমের মধ্যে জেগে থাকে...

সেই উদাসীন, বিষণ্ণ চলে যাওয়া।

৩.

খারাপ লাগে। তীব্র খারাপ লাগে।

সানাই-এর অসহ্য সুর ঘুরিয়ে মারে রুবি থেকে সিঁথির মোড়।

এদিকে ঘরময় সাইলেন্স ...বেটোভেন...সাইলেন্স প্লিজ...

নীরব সংলাপ ওড়ে।

অকারণ দুঃখ ডেকে আনি।

সন্তানহারা বেড়ালের নষ্ট দুধের মতো

ভালোবাসা গড়িয়ে গড়িয়ে যায় ... 

 

 

 

                                                                                                      ছবি - অর্ণব বসু

No comments

Powered by Blogger.